মধ্য এশিয়ার এক বালকের সামনে একটা মানচিত্র বিছানো। সে গভীর মনোযোগ দিয়ে মানচিত্রটা দেখছে। পাশে বালকের পিতা তাকে মানচিত্রটার খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বালক ও বালকের পিতা উভয়েই এক সুবিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী এক সম্রাটের উত্তরসূরি হলেও এখন তাদের হাতে কিছুই নেই। পিতার আশা, বালক একদিন মানচিত্রের ভূমিগুলো জয় করে নিজেদের গৌরব ফিরিয়ে আনবে।
যখনকার কথা বলছি, সময়কাল তখন ১৪০০ সালের প্রায় শেষদিকে। দুনিয়ার বুকে তখন বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সাম্রাজ্য নিজেদের শেকড় গেঁড়ে নিয়ে ডালপালা ছড়িয়ে ফেলেছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও জাযিরাতুল আরব উসমানীয়রা কব্জা করে ফেলেছে। পারস্য গেছে সাফাভীদের হাতে। ইউরোপে চলছে খ্রিষ্ট রাজ। ভারতবর্ষে লোদীদের জয়জয়কার। মধ্য এশিয়ায় তৈমুরী সাম্রাজ্য তছনছ হয়ে গেছে। তৈমুরের বংশধররা মধ্য এশিয়া ও ফারগানার সিংহাসনচ্যুত হয়ে বিতাড়িত হয়ে গেছে। আমাদের এই বালক এই বংশধরদেরই একজন। জহির উদ্দীন মুহাম্মদ বাবর। বালকের পিতার নাম শেখ ওমর মীর্জা।
১৫০৩ সাল। বাবর নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে বের হলেন। হিন্দুকুশ পাড়ি দিয়ে কাবুল জয় করলেন। পরবর্তী বাইশ বছরের মধ্যে পুরো আফগান দখলে নিয়ে হয়ে গেলেন বাদশাহ বাবর। কিন্তু শৈশবের স্বপ্ন ভুললেন না। ভারতবর্ষ জয়ের স্বপ্ন এখনো অধরা রয়ে গেছে। অবশেষে জীবন তাকে সেই সুযোগ দিলো। লোদী পরিবারের সাথে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজপরিবারের বিরোধোর সুযোগে তার ভারত আক্রমণের সুযোগ তৈরি হলো।
১৫২৬ সালের ১২ই এপ্রিল। দিল্লীর অদূরে হরিয়ানার পানিপথে বাবর ডেরা ফেললেন। সাথে মোটে বারো হাজার সৈন্য। খবর শুনে একলক্ষ সৈন্যের বহর নিয়ে এগিয়ে এলেন ইব্রাহীম লোদী। আটদিন ধরে ভয়ানক যুদ্ধ হলো। ইব্রাহীম লোদী মারা পড়লেন। ১৫২৬ সালের ২১শে এপ্রিল বাবর দিল্লীর সিংহাসনে বসলেন। শুরু হলো হিন্দুস্থান ই মুঘলের যাত্রা…
এরপর কী হলো জানতে চান? তাহলে আর দেরী কেন? আমাদের ইতিহাস কোর্স ০১ এর উপমহাদেশের ইতিহাস কোর্সের দ্বিতীয় সিজনে এবারের আয়োজন- মুঘল আমলের ইতিহাস।
ইন্সট্রাক্টর: ইমরান রাইহান
কোর্স মডিউল
১। মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা (বাবর ও হুমায়ুন)
২। আকবর ও জাহাঙ্গীরের রাজত্বকাল
৩। শাহজাহান ও আলমগিরের রাজত্বকাল
৪। দুর্বল মুঘলগণ (আলমগিরের মৃত্যুর পর থেকে ১৮৫৭)
৫। মুঘল সাম্রাজ্যের সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাস
ইসলাম কেবল কতগুলো ধর্মীয় বিধি-বিধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইসলামের সীমানা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক জীবন ছাড়িয়ে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনেও বিস্তৃত।
স্বত্ব © ২০২২ আম্মার’স অনলাইন ইন্সটিটিউশন কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত